বাপরে ! কত ভিড় ; শুধু মাথা আর মাথা আর এই জনসমুদ্রের মাঝখানে আমরা কজন রিতিমত কয়েক ফোঁটা জল কণা II এসবের মধ্যে দিয়ে সাপের মতো পথে খুবই ধীর গতিতে লাইন এগিয়ে ছোলেছে মূল ফাটকের দিকে II দেখতে দেখতে ঘণ্টা দুই পেড়িয়ে গেলো ; আর যেন তর সইছে না এবার তবু ধৈর্য ধরে দাড়ীয়ে রয়েছি প্রধানত তিনটি কারণে –
১। মা এর বকুনির ভয় ।।
২। পরিবেশটাই এমনই যে কিছু মনে হচ্ছে না ।।
৩। একটা পুরনো কথার প্রভাব , কষ্ট করলে নাকি কেষ্ট পাওয়া যায় ( যদিও কেষ্ট আজ কিছু দুরে দাড়িয়ে আমার থেকে )।।
এরই মধ্যে একটি এমণ খবর আমার উৎসাহ কে আরও দ্বিগুণ করে তুললো ; মন্দিরে আজ পূজো দিতে এসেছেন অভিনেত্রী হেমা মালিনী ।। তিনি মন্দির থেকে বেড়োলে তারপর লাইন আবার চলতে শুরু করবে ।।
নিকুচি করেছে লাইনের , আজ হেমা দিদির সাথে ছবি না তুলে ছাড়ছি না – এমনই সাত পাঁচ ভেবে চলেছি যখন ; ঠিক তখনি জনতার প্রবল উৎসাহ ভরা শব্দ আর চিৎকার জানান দিয়ে গেলো তিনি আসছেন ; তাও এপথেই ।। ব্যাস ! এক লাফ দিয়ে ; সবাইকে ঠেলে সরিয়ে সোজা মন্দিরের দালানে গিয়ে হাজির হলাম ; শুধু তাই নয় তার পিছন পিছন সোজা দৌড় মেরেছি তখন ।। ভাগ্যিস সিকিউরিটি আটকে দিল তাই ; নাহলে একটা ছবির নেশায় জুতো পরেই মন্দিরে দালানে উঠে পরেছিলাম আজ ।। সত্যি কতটা পাগল আমি ।।
যাই হোক সোনার দরজা দুটি খুলে দেওয়া হল এবার সাধারনের জন্য ।। ওরা তো অসাধারন ; তাই ওদের জন্য বিশেষ ব্যাবস্থা করা হয় আর আমরা গরমে ঘেমে , বৃষ্টিতে ভিজে ছুটে চলি দর্শনে ।।
মন্দির থেকে বেড়তে আরও আধ ঘণ্টা লেগে গেল ।। এতক্ষণে বাইরের তাপমাত্রা বেশ আনেকটাই কমে এসেছে আর এদিকে পেটে ইঁদুর দৌড় শুরু হয়ে গেছে ; সুতরাং ফিরে চল বাছাধন নিজের বাসায় ; আই মিন হোটেলে ।। বিকেলে আবার বেরোনো যাবে ।। ধুর ! এত জলদি ফিরে যাব বললেই হল , জাতটির নাম বাঙালি – ঘুরতে এসে কেনাকাটা না করলে রুটি হজম হবে না ।। হ্যাঁ , প্রচুর কেনাকাটি করার পর আজকের লাঞ্চ বাইরেই করে নেবো ঠিক করা হল – মেনু , তন্দুরি রটি আর ডাল মাখনি সাথে প্রচুর পেয়াজ ।।
দুপুরের ঘুমতা ছোট হলে কি হবে বেশ ভালো হয়েছে কিন্তু ; যদিও তার রিএক্সন মোটেই ভালো হল না আজ ।। ঘুম যখন ভাংল তখন বিকেল পাঁচটা ; অনেক চেষ্টা করে লেপ আর আমার মধ্যে আজ যখন বিচ্ছেদ ঘটানো গেলো না তখন এক প্রকার বাধ্য হয়েই বাকিরা গেলো মানা দেখতে ।। মানা , সেটা কি ? বলছি , আগে বাকিদের বেরিয়ে যেতে দিন কারন বাবা তো রয়েছেই সঙ্গে , এ পথে বহুবার এসেছেন আগে ।। তারই মুখ থেকে শুনতে শুনতে চলো বেরিয়ে পড়ি শতপন্থ স্বারগারহিনি ভ্রমণে ।। কথিত আছে এই পথেই পঞ্চ পাণ্ডব স্বর্গ যাত্রা করেছিলো ।। এই সেই জায়গা বলা হয় যেখানে স্বর্গ যাওয়ার সিঁড়ি আছে ।।
“ বাবা , এই স্বারগারহিনি যায় কোন রাস্তা দিয়ে ?”
বাবা হেসে বললো , “ আগে ওঠ , দু কাপ চা বলে আয় ... চা খেতে খেতে সব বলছি ।। “ এটুকু শোনা শেষ না হতেই দরজা খুলে হাক পারলাম , “ চায় , দো কাপ ... “ ।। শরিরে তখন কেমন যেন আমেজ খেলা করছে , যেন নিজেই যাব এবার ওই অচেনা পথে ।।
১। মা এর বকুনির ভয় ।।
২। পরিবেশটাই এমনই যে কিছু মনে হচ্ছে না ।।
৩। একটা পুরনো কথার প্রভাব , কষ্ট করলে নাকি কেষ্ট পাওয়া যায় ( যদিও কেষ্ট আজ কিছু দুরে দাড়িয়ে আমার থেকে )।।
এরই মধ্যে একটি এমণ খবর আমার উৎসাহ কে আরও দ্বিগুণ করে তুললো ; মন্দিরে আজ পূজো দিতে এসেছেন অভিনেত্রী হেমা মালিনী ।। তিনি মন্দির থেকে বেড়োলে তারপর লাইন আবার চলতে শুরু করবে ।।
নিকুচি করেছে লাইনের , আজ হেমা দিদির সাথে ছবি না তুলে ছাড়ছি না – এমনই সাত পাঁচ ভেবে চলেছি যখন ; ঠিক তখনি জনতার প্রবল উৎসাহ ভরা শব্দ আর চিৎকার জানান দিয়ে গেলো তিনি আসছেন ; তাও এপথেই ।। ব্যাস ! এক লাফ দিয়ে ; সবাইকে ঠেলে সরিয়ে সোজা মন্দিরের দালানে গিয়ে হাজির হলাম ; শুধু তাই নয় তার পিছন পিছন সোজা দৌড় মেরেছি তখন ।। ভাগ্যিস সিকিউরিটি আটকে দিল তাই ; নাহলে একটা ছবির নেশায় জুতো পরেই মন্দিরে দালানে উঠে পরেছিলাম আজ ।। সত্যি কতটা পাগল আমি ।।
যাই হোক সোনার দরজা দুটি খুলে দেওয়া হল এবার সাধারনের জন্য ।। ওরা তো অসাধারন ; তাই ওদের জন্য বিশেষ ব্যাবস্থা করা হয় আর আমরা গরমে ঘেমে , বৃষ্টিতে ভিজে ছুটে চলি দর্শনে ।।
মন্দির থেকে বেড়তে আরও আধ ঘণ্টা লেগে গেল ।। এতক্ষণে বাইরের তাপমাত্রা বেশ আনেকটাই কমে এসেছে আর এদিকে পেটে ইঁদুর দৌড় শুরু হয়ে গেছে ; সুতরাং ফিরে চল বাছাধন নিজের বাসায় ; আই মিন হোটেলে ।। বিকেলে আবার বেরোনো যাবে ।। ধুর ! এত জলদি ফিরে যাব বললেই হল , জাতটির নাম বাঙালি – ঘুরতে এসে কেনাকাটা না করলে রুটি হজম হবে না ।। হ্যাঁ , প্রচুর কেনাকাটি করার পর আজকের লাঞ্চ বাইরেই করে নেবো ঠিক করা হল – মেনু , তন্দুরি রটি আর ডাল মাখনি সাথে প্রচুর পেয়াজ ।।
দুপুরের ঘুমতা ছোট হলে কি হবে বেশ ভালো হয়েছে কিন্তু ; যদিও তার রিএক্সন মোটেই ভালো হল না আজ ।। ঘুম যখন ভাংল তখন বিকেল পাঁচটা ; অনেক চেষ্টা করে লেপ আর আমার মধ্যে আজ যখন বিচ্ছেদ ঘটানো গেলো না তখন এক প্রকার বাধ্য হয়েই বাকিরা গেলো মানা দেখতে ।। মানা , সেটা কি ? বলছি , আগে বাকিদের বেরিয়ে যেতে দিন কারন বাবা তো রয়েছেই সঙ্গে , এ পথে বহুবার এসেছেন আগে ।। তারই মুখ থেকে শুনতে শুনতে চলো বেরিয়ে পড়ি শতপন্থ স্বারগারহিনি ভ্রমণে ।। কথিত আছে এই পথেই পঞ্চ পাণ্ডব স্বর্গ যাত্রা করেছিলো ।। এই সেই জায়গা বলা হয় যেখানে স্বর্গ যাওয়ার সিঁড়ি আছে ।।
“ বাবা , এই স্বারগারহিনি যায় কোন রাস্তা দিয়ে ?”
বাবা হেসে বললো , “ আগে ওঠ , দু কাপ চা বলে আয় ... চা খেতে খেতে সব বলছি ।। “ এটুকু শোনা শেষ না হতেই দরজা খুলে হাক পারলাম , “ চায় , দো কাপ ... “ ।। শরিরে তখন কেমন যেন আমেজ খেলা করছে , যেন নিজেই যাব এবার ওই অচেনা পথে ।।